অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন: রুল শুনানি শেষ, রায় ৫ ডিসেম্বর

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

১৯৯৯ সালের মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের তিনটি ধারা প্রশ্নে দেওয়া রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে করা রিটের ওপর শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের ওই দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম। রিটে ব্যাখ্যাদানকারী হিসেবে পক্ষভুক্ত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, একবার কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দ্বিতীয় দফায় সন্তানের কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে আইনি জটিলতা সূত্রে ঢাকার বাসিন্দা ফাতেমা জোহরা ২০১৭ সালে আইনের তিনটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৪ আগস্ট আদালত রুল দেন। ১৯৯৯ সালের আইন সংশোধনের পর রিট আবেদনকারীর করা সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক রুল হয়।

আইনজীবীরা জানান, এরপর গত ২৮ আগস্ট আদালত কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত জানতে চান। এ অনুসারে সাত সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন ৭ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে সেদিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী মতামত তুলে ধরেন।

আইনজীবী রাশনা ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৯ সালের আইন ও ২০১৮ সালের সংশোধনীতে আইন অনুসারে নিকট আত্মীয় হিসেবে ২৩ জন কিডনি দান করতে পারেন। তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে তাদের পাওয়া না গেলে কী হবে, যেমনটি হয়েছে ফাতেমা জোহরার সন্তানের ক্ষেত্রে। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে নিকটাত্মীয় না পাওয়া গেলে তখন মানবিক কারণে যাতে কেউ কিডনি দান থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্যই রিটটি করা হয়। আইনের ওই সংকীর্ণতা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। সংশোধনীতে আইন অনুসারে একটি প্রত্যয়ন বোর্ড থাকবে। কিডনি–বাণিজ্য হচ্ছে কি না, বোর্ড তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারে।

তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৯ সালের আইনটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সংশোধন করা হয়, যেখানে কিডনিদাতার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিধিমালাও প্রণয়ন করা হয়, যার অধীনে একটি কমিটি আছে। এই কমিটির মাধ্যমে কিডনিদাতা ও গ্রহীতারা কীভাবে কিডনি হস্তান্তর করবে, সে প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যাবে।