'২৪ ঘণ্টাই মশা কামড়ায়'

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এডিস মশার আতঙ্ক এখনো কাটেনি নগরবাসীর। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ৫৭ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রম ছাড়াও বিশেষ অভিযান চালালেও তা কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ অনেক নগরবাসীর। এ অবস্থায় মশকনিধনে আবার ১০ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি।

সর্বশেষ গত মাসের ২৩ তারিখ থেকে কিউলেক্স মশা নিধনে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ কর্মসূচি’ পালন করে ডিএসসিসি। সংস্থাটি জানায়, গত অক্টোবরের শেষে কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও জিএম সাইফুর রহমানসহ ১২ জনের সমন্বয়ে পরিচালিত সমীক্ষায় ডিএনসিসির ৩৬ এলাকায় কিউলেক্স মশার মোট ৬২৬টি প্রজননস্থল (হটস্পট) চিহ্নিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব রামপুরার হাইস্কুল রোড এলাকার আয়েশা আহমেদ বলেন, ‘২৪ ঘণ্টাই মশা কামড়ায়। বিকেলে জানালা বন্ধ না করলে মশার জ্বালায় কোথাও একটানা বসে থাকা যায় না।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘সিটি করপোরেশন মশকনিধনে কাজ করলে এত মশা কীভাবে থাকে?’

এমন অবস্থায় গতকাল সকালে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড মাঠে ‘মশকনিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ উদ্বোধন করেন। এ সময় মেয়র বলেন, এ অভিযানের আওতায় ২৪ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে ১০ দিনব্যাপী কিউলেক্স মশার ৬২৬টি প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হবে। ধ্বংস করা হবে মশার লার্ভা। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযানের ধারাবাহিকতায় এবার কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে নতুন করে কিছু আধুনিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। এ কাজে ২০টি মিক্সড ব্লোয়ার যন্ত্র আনা হয়েছে; যা দিয়ে ঢেকে থাকা ড্রেনের ভেতর মশার ডিম ও লার্ভা নিধনে ওষুধ ছিটানো যাবে। এ ছাড়া উড়ন্ত মশা মারার ওষুধ ছিটানোর জন্য দুটি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন আনা হয়েছে। আরও তিনটি আমদানি করা হবে। এতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গতি আসবে।

গতকালের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন, প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সফিউল্লাহ।