উন্নয়ন দেখতে চসিকে ডিএনসিসির মেয়র আতিক

আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন দেখতে গেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র থাকাকালীন মহিউদ্দিন চৌধুরী চসিকে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, তা থেকে শিক্ষা নিতেই মেয়র আতিক চট্টগ্রাম যাত্রা করেছেন। এ কথা নিজেই জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের রেডিসন ব্লু ভিউতে চলছিল পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পের বিষয়ে ওয়াসার সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি সই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একপর্যায়ে সেখানে হাজির হন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

পরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন দেখো কীভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই মহিউদ্দিন চৌধুরীর সময়ে নিজের পায়ে চলতে পেরেছিল। তা তুমি একটু দেখো। ওই দেখার জন্যই মূলত আমি নাছির ভাইয়ের (বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন) সঙ্গে কথা বলেছি। তাই বিদেশে না গিয়ে আগে নিজের ঘরে শিখতে এসেছি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নানা উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে চট্টগ্রামের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো ধরনের বাধাগ্রস্ত না হয়।

‘চট্টগ্রাম মহানগরের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায়) ’ শীর্ষক এ প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে যুক্ত হয়েছেন এরিনকো এসডিএন ডট বিএইচডি। এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে বাংলাদেশের আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই চুক্তি সই হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, এরিনকো এসডিএন ডট বিএইচডির চেয়ারম্যান দাতুক আহমেদ জাইদি লাদেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ ইব্রাহিম। প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরের প্রায় ২০ লাখ মানুষ পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। আগামী আগস্ট মাস থেকে প্রকল্পের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।