'অসুস্থ' সম্রাটকে রিমান্ডে আনতে পারেনি দুদক

ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি

‘অসুস্থ’ হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে রিমান্ডে আনতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তাঁকে আজ রোববার থেকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর কথা ছিল সংস্থাটির। 

দুদক ও কারা সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে থাকা সম্রাট গতকাল শনিবার রাতে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আনা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফেরত যাওয়ার পর সম্রাটকে দুদকে আনা হবে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ নভেম্বর সম্রাটের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সূত্র জানায়, সম্রাটের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্টভাবে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার ওপর ভিত্তি করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়। ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সম্রাটের বিপুল সম্পদের তথ্য উদ্ধারে চেষ্টা করবে সংস্থাটি।

কাশিমপুর কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান বলেন, ‘সম্রাটের হার্টের সমস্যা দেখা দিলে গতকাল রাতে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

রাজধানীর অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে সম্রাট দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধ জগতের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আবার আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। তাঁকে ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রক মনে করা হচ্ছিল। অভিযানের শুরুতে কয়েক দিন কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকলেও পরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

গ্রেপ্তারের পর বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলাও করা হয়। দুই মামলায় সম্রাটকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।