রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

রামুর সেনানিবাসে আজ ১০ পদাতিক ডিভিশনের ছয়টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার তুলে দেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো
রামুর সেনানিবাসে আজ ১০ পদাতিক ডিভিশনের ছয়টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার তুলে দেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে মানবিক আশ্রয়ে থাকা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

আজ রোববার কক্সবাজারের রামুতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান। জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের বাইরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ইতিমধ্যে উখিয়ার একটি শিবিরে পাকা খুঁটি পোঁতার কাজ শেষ হয়েছে। খুঁটিগুলো সেনাবাহিনী তৈরি করছে। খুঁটি স্থাপনের পর কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হবে।

এ সময় মিয়ানমার সীমান্তের বাংলাদেশ অংশেও সীমান্ত সড়ক নির্মাণ এবং তার পাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন সেনাপ্রধান।

রামুর সেনানিবাসে আজ দুপুরে ১০ পদাতিক ডিভিশনের ছয়টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার দেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ইউনিটগুলো হচ্ছে ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সকাল ১০টায় সেনাবাহিনীর প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। সেনাবাহিনীর প্রধান রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টসমূহ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধারাবাহিক ও প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে রেজিমেন্টাল কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত রেজিমেন্ট কালারের মর্যাদা এবং সেনাবাহিনীর প্রতি জাতির আস্থা অটুট রাখার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহ সব সময় সচেষ্ট থাকবে।

সেনাবাহিনীর প্রধান উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা ও জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে।

এর আগে সেনাপ্রধানের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষে সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের তিন সাংসদ—আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল ও জাফর আলম, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।