ড্যান্স বারের আড়ালে তরুণী পাচার, ৬ জন গ্রেপ্তার

ড্যান্স বারে কাজ দেওয়ার নামে বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল সংঘবদ্ধ বেশ কয়েকটি চক্র। পাচারের পর ওই তরুণীদের আটকে রেখে চালানো হতো নির্যাতন। বাধ্য করা হতো যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে। সংঘবদ্ধ চক্রটি এ বছর বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ৭২৯ জন তরুণীকে পাচার করেছে।

শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি রেস্তোরাঁ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে একত্র করার সময় আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারীদের হাত থেকে চার তরুণীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১১। আটক করা হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের ছয় সদস্যকে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭০ তরুণীর পাসপোর্ট, ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, ২০০টি পাসপোর্টের ফটোকপি, ৫০টি বিমান টিকিট, ৫০টি ট্যুরিস্ট ভিসার ফটোকপি, ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর ও ১টি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল মাইক্রোবাস।

আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণীদের উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে পাচার করে থাকেন। পাচারের পর তরুণীদের সেখানে আটকে রেখে যৌন পেশায় আসতে বাধ্য করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১-এর ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার রেজাউল হক। এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাবের কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আটক ছয়জন হলেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া এলাকার অনিক হোসেন (৩১), নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার আক্তার হোসেন (৪০), পাসপোর্ট প্রস্তুতকারী দালাল চাঁদপুরের কচুয়ার আফতাউল ইসলাম ওরফে পারভেজ (৩৭), দুবাইয়ে ড্যান্স ক্লাবের মালিক নোয়াখালীর চাটখিল এলাকার মনির হোসেন ওরফে সোহাগ (৩০) ও কুমিল্লার চান্দিনা এলাকার আবদুল হান্নান (৫২)। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘মুবিন এয়ার’ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মো. আকাশকে (২৯) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।