জিকে শামীমের বন্ধ থাকা প্রকল্পের চুক্তি বাতিলে নোটিশ

গোলাম কিবরিয়া শামীম
গোলাম কিবরিয়া শামীম

গ্রেপ্তার হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি এন্ড কোম্পানির যেসব প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে সেগুলোর চুক্তি বাতিলে ‘টার্মিনেশন নোটিশ’ দিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ ছাড়া জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পাঁচটি প্রকল্পের স্থগিতকৃত ব্যাংক হিসাব অবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরের যেসব প্রকল্পের কাজ এককভাবে বাস্তবায়ন করছিল সেগুলো চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় চুক্তি বাতিলের জন্য ‘টার্মিনেশন নোটিশ’ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ধরনের ১০টি প্রকল্পের চুক্তি বাতিল করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সারা দেশে চলমান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের নির্মাণকাজ একক ও যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছিল শামীমের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তিনি মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। তাঁর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সচিবালয়ের নতুন ভবন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গাজীপুরে র‌্যাবের কমপ্লেক্স, আজিমপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণসহ এককভাবে সরকারের ১৩টি বড় প্রকল্পের ঠিকাদার জি কে শামীম।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সংসদীয় কমিটি সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের বসার জন্য স্থাপিত কিটকট চেয়ারগুলো পর্যটকদের জন্য বিনা মূল্যে ব্যবহারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।

বৈঠকে জানানো হয়, কক্সবাজারে ১৪৪টি হোটেল মোটেল ও গেস্টহাউজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। এসব হোটেল-মোটেল ও রেস্টহাউজের মধ্যে ৭৯টি ২-৩ চেম্বার বিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক ব্যবহার করছে। বাকি ৬৫টিতে এ ধরনের সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ২-৩ চেম্বার বিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জিল্লুল হাকিম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান ও ফরিদা খানম বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: