'জিনের বাদশা' পরিচয়ে স্বর্ণালংকার লুট, পরে উদ্ধার

গাইবান্ধা থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ‘জিনের বাদশা’ চক্রের তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধা থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ‘জিনের বাদশা’ চক্রের তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

অপরিচিত মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তাঁরা নিজের পরিচয় দেন ‘জিনের বাদশা’ হিসেবে। পরে বিভিন্ন ধর্মীয় কথাবার্তা বলে ভক্ত বানিয়ে ফেলেন। নানা কিছু পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লুট করেন ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেলায় অভিযান চালিয়ে ‘জিনের বাদশা’ চক্রের তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি দল।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার সাহেবগঞ্জ এলাকার মুন্নাফ (৩৬), একই জেলার রামনাথপুর এলাকার তৌহিদ (২৭), বোয়ালিয়া প্রধানপাড় এলাকার শিবু চন্দ্র মহত্ত (৩৫)।

রোববার সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সদর উপজেলার ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে মুঠোফোনে কথা বলে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে প্রতারক চক্রটি। এ ঘটনায় মনোয়ারা বেগমের ছেলে মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোবারক হোসেন ও এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মুন্নাফকে গ্রেপ্তার করে। মুন্নাফের ব্যবহৃত মুঠোফোন জব্দ করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশার মূল হোতা একই জেলার রামনাথপুর এলাকার বাসিন্দা তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই জেলার বোয়ালিয়া প্রধানপাড় এলাকার বাসিন্দা শিবু চন্দ্র মহত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতারণা করে নেওয়া ২০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা একাধিক রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভুয়া মুঠোফোনের সিম কার্ড ব্যবহার করে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে নানা কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে ভক্ত বানিয়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া উচিত। কেউ যেন লোভের বশবর্তী তাদের ফাঁদে পা না দেয়।