পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ১২ মামলার আসামি নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লক্ষণধর আলী ওরফে লিপসন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, কয়েকটি ব্যবহৃত-অব্যবহৃত শটগানের গুলি ও চারটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

লক্ষণধর আলী উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের কলমদর আলীর ছেলে। পুলিশের ভাষ্য, লক্ষণধর আলীর বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি আরও অনেক মামলার সন্দেহভাজন আসামি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার জাউয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা লক্ষণধর আলীকে গ্রেপ্তার করেন। রাতে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয় পুলিশ। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের বুকারভাঙ্গা এলাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের কাছ থেকে লক্ষণধর আলীকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালায় কিছু লোক। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে পালানোর সময় লক্ষণধর গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে কৈতক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, লক্ষণধর আলীর বিরুদ্ধে কেবল ছাতক থানাতেই ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় পুলিশের ছয়জন সদস্য আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।