খোকসায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

খোকসায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো
খোকসায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ত্রি-বার্ষিক সম্মলেন শুরু হওয়ার আগে চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের উত্তেজিত কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সভাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর আজ বেলা ২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা। কিন্তু সকালে সাড়ে নয়টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের সমর্থিত ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতা–কর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় হলুদগেঞ্জি পরা সাংসদের সমর্থক বাবুল আক্তারের সমর্থকদের সঙ্গে সাদা গেঞ্জি পরা সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। বৈঠা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাঁরা একে অপরকে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী–সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারের ভাতিজা রবিন খান (২৮), শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম (৪৩), আওয়ামী লীগের কর্মী জয়নাল মোল্লা (৫৫), আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জ্বল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫) ও হজরতকে (৩২) খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যরা অন্যত্র প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

ঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান।

সম্মেলনস্থলে হামলা পাল্টা হামলার জন্য সম্মেলন হবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কমিটির সদস্য আরিফুল আলম জানান, হামলার পর আহত কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত। সম্মেলন হওয়া না হওয়ার বিষয়ে পরে জানাবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হবে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র একটি ঝামেলা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। গুরুত্বপূর্ণ আট স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সম্মেলনস্থলে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।