সম্রাটের সহযোগী আরমান দুদকের রিমান্ডে

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনামুল হক আরমানকে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেগুন বাগিচা, ঢাকা, ২৫ নভেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনামুল হক আরমানকে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেগুন বাগিচা, ঢাকা, ২৫ নভেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন

ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ছয় দিনের রিমান্ডে এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় আরমানকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, আরমানের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১২ নভেম্বর আরমানের মামলা করে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি আরমান। ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির টাকার বড় অংশ আরমানের কাছে রাখতেন সম্রাট। ‘লাগেজ পার্টি’ থেকে যুবলীগ, ক্যাসিনো ও সিনেমা প্রযোজক হয়ে আরমান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সব জায়গা।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে বিদেশ থেকে ‘লাগেজ পার্টির’ আনা ইলেকট্রনিক পণ্য বায়তুল মোকাররম এলাকার দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন। পরে নিজেই লাগেজ পার্টির কারবারে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে যুবলীগের পদ পেয়ে অল্প সময়ে গড়ে তোলেন বিত্তবৈভব। জুয়া-ক্যাসিনোর টাকায় নামেন সিনেমা প্রযোজনায়ও।

সম্রাটের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুবাদেই ২০১৩ সালে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতির পদ পান আরমান। সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায় ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো ও জুয়া-বাণিজ্যের অন্যতম নিয়ন্ত্রকে পরিণত হন আরমান। তিনিই সম্রাটকে ক্যাসিনো ব্যবসায় আগ্রহী করেন বলে প্রচার আছে। সম্রাটের হয়ে পুরো ক্যাসিনো ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব পালন করতেন আরমান।

গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাটের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরমানও। গ্রেপ্তারের সময় মদ্যপ ছিলেন আরমান। তাঁর কাছে মাদকও পাওয়া যায়। সে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।