২ হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

খুলনায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ দুটি রায় ঘোষণা করেন।

তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর গ্রামের রিকশাচালক আবদুল আলী শেখ হত্যা মামলায় সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো। আর ডুমুরিয়ার ঘেরমালিক শাহিন বন্দ হত্যা মামলায় আসামি আসলাম সানা ওরফে জলিল সানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী।

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক বলেন, আবদুল আলী শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন সলেমান গাজী, হাফিজ খান, জামাল শেখ, শওকত মোল্লা, আকতার শেখ, নেয়ামত শেখ ও মিন্টু ওরফে মন্টু। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফিরোজ গাজী, কামাল, শরিফুল, আবদুল ওয়াদুদ ও মাশিকুল ইসলাম চৌধুরী। রায় ঘোষণার সময় সাজা পাওয়া আসামিদের মধ্যে জামাল শেখ ও নিয়ামত আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর গ্রামের রিকশাচালক আবদুল আলী শেখকে আসামিরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবদুল আলী। পরে ৪ মে বিকেলে ভৈরব নদ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির গলা ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ওই ঘটনায় তাঁর ভাই মিন্টু শেখ বাদী হয়ে ৭ মে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা করেন। তিন দফা ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। পরে মামলার তদন্ত দেওয়া হয় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের ১২ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ওই রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে ডুমুরিয়ার ঘেরমালিক শাহিন বন্দ হত্যা মামলায় আসলাম সানা ওরফে জলিল সানা নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

এই মামলার বিবরণে জানা গেছে, ডুমুরিয়ার বিলপাবলা এলাকায় শাহিন বন্দের মাছের ঘেরে কাজ করতেন জলিল সানা। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে শাহিন জলিলকে কয়েকটি চড় মারেন। এর প্রতিশোধ নিতে ২০১১ সালের ৬ জুন রাতে ত্রিশূল দিয়ে ঘুমন্ত শাহিনের বুকে আঘাত করেন জলিল। এরপর স্থানীয় লোকজন শাহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানার পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।