সুনির্দিষ্ট অভিযোগে খালিদীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে: দুদক সচিব

তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ২৬ নভেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ২৬ নভেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানিয়েছেন, খালিদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করছে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে খালিদী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তিনি পরিষ্কার নন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কী, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি সে অর্থে পরিষ্কার নন। তিনি বলেন, ‘একটি চিঠি এসেছে বোধ হয় কোনো জায়গা থেকে। সেটার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। কাজেই অভিযোগটা কী, আসলে একটি বিনিয়োগ হয়েছে, একটি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। করার পর সেটা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে। সেটা তারা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।’

এরপর একজন সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, একজন সম্পাদক একটি ব্যাংকের এমডির কাছে চাঁদা চেয়েছেন...। প্রশ্ন শেষ না হতেই তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি আগেরবারও বলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে তিনি আমার কথা বলেছেন কি না। আমি জানি, ওই সাংবাদিক আমি নই।’

খালিদী দুদক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকেরা কথা বলেন দুদক সচিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিডিনিউজের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আছে।