ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

ইমাম আবু জাফর ও  বিশ্বজিৎ ঘোষ
ইমাম আবু জাফর ও বিশ্বজিৎ ঘোষ

প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দিনাজপুরে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার অভিবাসন কার্যালয়গুলোয় চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ওই দুই নেতা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমাম আবু জাফর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলামের সই করা চিঠিতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ ঘোষ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দরপত্র বাণিজ্য, মাদক, হুন্ডি ব্যবসাসহ লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। সুখসাগরের ইকোপার্কে রংমহলসহ অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন তিনি। আবু জাফর দিনাজপুর হাউজিং এস্টেটসহ সরকারি দপ্তরের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক প্লট ও বাড়ি রয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি আবাসিক হোটেল, বিলাসবহুল বাড়ি ও সুইমিংপুল গড়ে তুলেছেন তিনি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক ওই দুজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অভিবাসন কার্যালয়গুলোয় চিঠি পাঠিয়েছে।

এর আগে ৩ নভেম্বর ওই দুই নেতার বৈধ ও অবৈধ সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। সম্পদের হিসাব দিতে ৬ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যান তাঁরা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ব‌জিৎ ঘোষের মু‌ঠো‌ফো‌নে কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া‌ যায়।

ইমাম আবু জাফর ব‌লেন, ‘আমি রাজ‌নৈ‌তিক প্র‌তি‌হিংসার শিকার। নই‌লে আমার মতো সামান্য নেতাকে দুদক তলব কর‌বে কেন?’

জানতে চাইলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান বলেন, ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। সে কারণে তাঁদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।