যুবলীগ নেতাকে ছাত্রলীগের কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসকে ছাত্রলীগের নেতাসহ কয়েকজন কুপিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উত্তর সুবিদখালী বটতলাসংলগ্ন পানির ট্যাংকের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রুহুল কুদ্দুস আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুহুল কুদ্দুসের ছোট ভাই মশিউর রহমান বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সুবিদখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েখ ও ছাত্রলীগের কর্মী শাহিনের নেতৃত্বে ১০–১২ জন মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে যুবলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুসকে উত্তর সুবিদখালী বটতলা পানির ট্যাংকের কাছে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁরা কুদ্দুসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. সুলতান হোসেন বলেন, ২৫ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে একটি মিছিলের সামনের সারিতে থাকা নিয়ে যুবলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুসের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মো. সায়েখের কথা–কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রুহুলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। 

যুবলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুসের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মো. সায়েখ  বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। কী কারণে তিনি (রুহুল কুদ্দুস) এ ঘটনায় আমার জড়িত থাকার বিষয়টি বলেছেন, আমি তা–ও জানি না। তাঁর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক কোনো বিরোধ নেই। এ ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, যুবলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুসের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সায়েখ ও শাহিনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রুহুলের ছোট ভাই। ঘটনার পর ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু পলাতক থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।