অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোয় ৩ সহোদরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

নাটোরে সৎ মামার অবহেলাজনিত মৃত্যুর ঘটনায় তিন সহোদরের বিরুদ্ধে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে মো.শাহীন (৪৬) মো.আয়াতুল্লাহ (৪৩) ও মো.সানা (৩৭)।

দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনে আদালত রায় পড়ে শোনান। রায়ে বিচারক জানান, মামলাটি যদিও নরহত্যা অর্থাৎ ৩০২ ধারায় দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারমলে আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা করার অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তবে আসামিদের মারপিটের কারণেই মৃত্যু সংঘটিত হয়েছে। কাজেই এর দায় আসামিদেরই বহন করতে হবে।

মামলার বাদী একই উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় বাদীর বাবা রেফাজ উদ্দিন সরকার ডহরশৈলা ইক্ষু কেন্দ্রের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামিরা (ছোট বোন আনজেরার সৎ ছেলে) পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাঁকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে পথচারীরা অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় লালপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। তদন্ত শেষে লালপুর থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম একই বছরের ১৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা জজ আদালতে আসে। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত রায় দেন। পরে তাঁদের নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিদের আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।