বিচারের রায় বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক: যুক্তরাষ্ট্র

হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার বিচারকে বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, নৃশংস এই হামলার রায়ের ফলে ২০১৬ সালের জুলাইতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের নৃশংস ওই সন্ত্রাসী হামলার বিচারের বিষয়ে আজ বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পুরো তদন্তকাজে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে পেরে সম্মানিত। আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিশেষ করে আইনের শাসন পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই ভাবগম্ভীর মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাধারণ নাগরিক এবং ঘৃণ্য ওই সন্ত্রাসী হামলার মোকাবিলায় হতাহত বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রিয়জনদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আবারও গভীরতম শোক প্রকাশ করছে।’

তিন বছর আগে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বিচার শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় আজ বুধবার বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া সাত আসামি হলেন রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল পুরো বাংলাদেশকে। একই সঙ্গে স্পষ্ট হয়েছিল জঙ্গিবাদের বিস্তারের এক বিপজ্জনক মাত্রা। জঙ্গিরা হত্যা করেছিল ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে, যাঁদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় ও তিনজন বাংলাদেশি। পুলিশের তদন্তে এসেছে, এই হামলায় জড়িত গোষ্ঠীর নাম নব্য জেএমবি, যারা ঘটনার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) বলে দাবি করেছিল।