আসামি ফখরুল-আব্বাস-গয়েশ্বরসহ ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের নেতৃত্বে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি বের করা হয়। ঢাকা, ২৬ নভেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাস
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের নেতৃত্বে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি বের করা হয়। ঢাকা, ২৬ নভেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাস

রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের সংঘর্ষের একই দিন রাতে মামলাটি করেছে শাহবাগ থানা-পুলিশ।

শাহবাগ-থানা পুলিশ জানায়, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ ও সাধারণ সম্পাদকসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের এমন ২৮ জনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামীদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান রয়েছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। পরে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ তাদের সরাতে লাঠিপেটা করে। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরাও পুলিশের ওপর চওড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় গাড়িও ভাঙচুর করে।

মামলার পর গতকাল মধ্যরাতে এই মামলার আসামি জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের একটি ফ্লাইটে তিনি মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল ইশতিয়াক আজিজের।

মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ইশতিয়াক আজিজকে আজ বুধবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।