কটিয়াদীতে স্বজন সেজে নবজাতক চুরির অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় স্বজন সেজে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে স্থানীয় রেনেসাঁ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বর্তীহাটা গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী কুলসুম বেগমের প্রসববেদনা ওঠে। রাত সোয়া ১০টার দিকে কুলসুমকে রেনেসাঁ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে আনা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মনির-কুলসুম দম্পতির একটি ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে হাসপাতালে স্বজনেরা ভিড় জমাতে থাকেন। সেখানে বোরকা পরা এক নারীও ছিলেন। মনিরের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ওই নারী কক্ষে ঢোকেন। কিন্তু নবজাতক চুরির পর থেকে ওই নারীকে আর হাসপাতালে দেখা যায়নি। পরে জানা গেছে, ওই নারী মনির বা কুলসুম কারও আত্মীয় নন।

মনিরের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন বলেন, ওই নারী কক্ষে ঢুকেই নবজাতককে কোলে নেন। তখন কক্ষে শুধু নবজাতকের মা কুলসুম ও ফুফু হালেমা বেগম ছিলেন। নবজাতকের শরীর মোছাতে হবে—এই কথা বলে হালেমাকে একটি গামছা ভিজিয়ে আনতে বলেন। গামছা ভেজাতে হালেমা কক্ষের বাইরে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, নবজাতককে নিয়ে ওই নারী পালিয়ে গেছেন।

হালেমা বেগম বলেন, ‘ওই নারীকে আমি আগে কখনো দেখিনি। যখন নবজাতককে নিয়ে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে গেলাম, তখন তিনিও এলেন। এসে আমাদের দূরসম্পর্কের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। আমি যখন গামছা ভেজাতে বাইরে যাই, তখন কুলসুম ঘুমাচ্ছিল।’

হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্স রোজিনা আক্তার বলেন, ‘বোরকা পরা মেয়েটিকে নবজাতকের আত্মীয়দের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। সে কারণে তাঁকেও নবজাতকের স্বজন ভেবেছি।’ তবে নবজাতকের বাবা মনির হোসেনের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবেই এ ঘটনা ঘটেছে।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতককে উদ্ধারে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।