সড়ক যেন ভাগাড়!

সড়কজুড়ে চলছে আবর্জনা বাছাইয়ের কাজ। গতকাল দুপুরে ৬০ ফুট সড়কের মনিপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
সড়কজুড়ে চলছে আবর্জনা বাছাইয়ের কাজ। গতকাল দুপুরে ৬০ ফুট সড়কের মনিপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

ব্যস্ত সড়কের পাশে দুই সারিতে আবর্জনাভর্তি অন্তত সাতটি ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা। বিপরীত দিক থেকে একটি–দুটি করে ভ্যান আসছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের আবর্জনা সংগ্রহের বড় একটি ট্রাক হাজির হয় সেখানে। কিছুক্ষণের জন্য আটকে যায় পুরো সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

গতকাল বুধবার এ দৃশ্য মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের বড়বাগ মোড় থেকে খানিকটা সামনে এগিয়ে মণিপুর স্কুল–সংলগ্ন এলাকার। বড়বাগ মোড় থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটারের এই সড়কটি আগারগাঁও বেতার ভবনের কাছে পৌঁছেছে। এটি ৬০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা বলছেন, প্রতিদিন দুপুরের দিকে ৬০ ফুট সড়কের কয়েকটি জায়গায় এভাবে ময়লা অপসারণের কাজ চলে। তবে মণিপুর স্কুল–সংলগ্ন জায়গাটির অবস্থা সবচেয়ে বাজে। মূল সড়কের ওপর বড় পরিসরে এভাবে আবর্জনা অপসারণের কাজ করার কারণে সড়কটিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য যানজট লেগে যায়। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্কুলফেরত শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ময়লা অপসারণের ওই জায়গাটিতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসাবাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে একের পর এক ভ্যান হাজির হচ্ছে। পাশে সড়কদ্বীপের ওপরেই অনেকগুলো আবর্জনার বস্তা রাখা। সংকুচিত হয়ে আসা সড়কটির এক পাশ দিয়ে কোনোভাবে যানবাহন চলাচল করছে। লেগে যাচ্ছে যানজট।

এ সময় ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলেন আফরোজা হাসান নামের এক অভিভাবক। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক আটকে এভাবে ময়লা সরানোর কাজ করা হচ্ছে অথচ শিক্ষার্থীদের কথা কেউ ভাবছে না।’ 

ফুটপাতের পাশে একটি মুদিদোকানের স্বত্বাধিকারী গোলাম রসুল বলেন, ‘ময়লার ভ্যানগুলোর কারণে যানজট তো থাকেই। সবচেয়ে অসহ্য হইতাছে দুর্গন্ধের যন্ত্রণা।’

এলাকাটি পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) তৈরির জন্য আমাদের ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত কোনো জমি পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই এটা করতে হয়। এটা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।’