ইউলুপের নিচে বিভাজক ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

বাড্ডা ইউলুপের নিচে সড়ক বিভাজক ভেঙে তৈরি হয়েছে পথ। এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে যানবাহন।  ছবি:  প্রথম আলো
বাড্ডা ইউলুপের নিচে সড়ক বিভাজক ভেঙে তৈরি হয়েছে পথ। এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে যানবাহন। ছবি: প্রথম আলো

বাড্ডা ইউলুপের নিচে বিভাজক ভেঙে তৈরি পথে বিপজ্জনকভাবে পার হচ্ছে যানবাহন। এতে মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে বলে স্থানীয় দোকানি ও পথচারীরা আশঙ্কা করছেন।

গতকাল বুধবার বেলা প্রায় ১১টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইউলুপের ওপরে ও নিচে প্রচুর যানবাহন। বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ওপরে ও নিচে উভয় পথেই চলছে। পিকআপ, রিকশা, ভ্যান চলছে নিচের সড়কে। রামপুরার দিক থেকে আসা এবং বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন ভাঙা পথে এপার–ওপর যাতায়াত করছে। প্রায় ৬ ফুট প্রস্থের ভাঙা অংশ দিয়ে আগে যাওয়ার জন্য রিকশা ও ভ্যান প্রভৃতির প্রতিযোগিতার কারণে প্রধান সড়কে জটলাও বাধছে।

 দেখা গেল, সড়কের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব প্রান্তে কলাবোঝাই একটি রিকশাভ্যান আসছিল। পেছনে একটি যাত্রীবাহী রিকশা। রিকশাটি আগে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। অল্পের জন্য রাইদা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগেনি।

এলাকায় জিএম ট্রেডার্স, খান ট্রেডার্সসহ বিভিন্ন ব্যবসাকেন্দ্রের লোকজন অভিযোগ করেন, বিভাজকের জায়গা ভেঙে ফেলায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন পার হয়।

জানা যায়, রামপুরা ইউলুপ ও বাড্ডা ইউলুপের মাঝখানে প্রায় দীর্ঘ পথে কোনো পারাপারের জন্য কাটা অংশ নেই। আর রিকশা ও ভ্যান ইউলুপে উঠতে পারে না। সড়ক বিভাজকটি ভেঙে ফেলার এটি একটি বড় কারণ।

বাড্ডা ও রামপুরা ইউলুপ নির্মিত হয়েছে হাতিরঝিল প্রকল্পের অংশ হিসেবে। মালিবাগ-নতুনবাজার সড়কের নিত্যকার যানজট কমাতে হাতিরঝিল প্রকল্পের সঙ্গে রামপুরা ও বাড্ডা ইউলুপ দুটি প্রায় ৪০ কোটি টাকায় নির্মিত হয়।

জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, বাড্ডা ইউলুপের নিচের বিভাজক ভাঙার বিষয়টি তাঁদের নজরে আসেনি। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।