ডিসেম্বরে পাবনার বাজারে উঠবে এক লাখ টন পেঁয়াজ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাবনায় কয়েক দিন চড়া ভাব থাকার পর আবার পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার পাইকারি বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা ও নতুন পেঁয়াজ ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, আগাম জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে জেলায় প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন নতুন পেঁয়াজ উঠবে। এতে পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।

জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুটা কমার পর গত রোববার হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তখন পুরোনো পেঁয়াজ প্রতি মণ ৯ থেকে ১০ হাজার ও নতুন পেঁয়াজ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই থেকে তিন দিন একই গতিতে চলার পর আবার দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল পাইকারি বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার ও নতুন পেঁয়াজ ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা মণে বিক্রি হয়েছে।

সুজানগর পৌর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, নতুন পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় গত সপ্তাহে দাম কিছুটা বেড়েছিল। আমদানি বাড়তে থাকলে দাম আরও কমে যাবে।

গতকাল সকালে জেলা সদরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, াইকারি দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। প্রতি কেজি পুরোনো পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও নতুন পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর জেলা সদর, সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলায় আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়। চলতি বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে এ তিন উপজেলার বাইরে ঈশ্বরদী, বেড়া, আটঘরিয়া ও চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ করা হয়। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করা হয়। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন।

সুজানগর উপজেলার মানিকহাট গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। তবে পেঁয়াজ এখনো কিছুটা অপরিপক্ব আছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিপক্ব হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজাহার আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আগাম জাতের পেঁয়াজের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কৃষকেরা ঘরে তুলবেন। এতে পেঁয়াজের দামও কমে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।