প্রতিটি বিভাগে নতুন সরকারি হাসপাতাল হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় রোগীদের খোঁজখবর নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মানিকগঞ্জ, ৩০ নভেম্বর। ছবি: আবদুল মোমিন
মানিকগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় রোগীদের খোঁজখবর নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মানিকগঞ্জ, ৩০ নভেম্বর। ছবি: আবদুল মোমিন

দেশের আটটি বিভাগে নতুন আটটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। হাসপাতালগুলোয় ক্যানসারের পাশাপাশি কিডনি রোগেরও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া চিকিৎসকসংকট দূর করতে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে নেই; বিশেষ করে কিডনি, ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসাব্যবস্থা নেই। রোগীদের এই তিন রোগের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে আটটি বিভাগে ১৫ তলাবিশিষ্ট আটটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ১০টি বেড সংরক্ষণ করা হবে।

চিকিৎসকসংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত চার মাসে দুই হাজার চিকিৎসককে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ডিসেম্বর মাসে ৪ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরা জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যোগদান করবেন। এতে হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকসংকট অনেকটা কেটে যাবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবিষ্যতে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এডিস মশা নির্মূলের জন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে সঠিক সময়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিরা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, জেলা ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী ভান্ডারি এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।