চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হলে তল্লাশি, রড-দা উদ্ধার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলে একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার রাত পৌনে আটটা থেকে পৌনে নয়টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু রড ও দা উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের সাত কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করেছে।

তল্লাশির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনির হাসান বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির পরিপ্রেক্ষিতে হলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এখন থেকে এসব ঘটনা ঘটলে প্রশাসন বসে থাকবে না। 


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউর দৌলা রেজা প্রথম আলোকে বলেন, তল্লাশির সময় শাহ আমানত হল ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বেশ কিছু রড ও দা পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক পক্ষ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতা-কর্মীদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও ভিএক্স চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি। গত পাঁচ বছরে ছাত্রলীগের ১১টি উপপক্ষের মধ্যে অন্তত দেড় শবার মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।