রাজশাহীতে রাতের বেলায় তেল কেনার হিড়িক

পেট্রলপাম্পগুলোয় তেলের জন্য গাড়ির লাইন। ছবিটি শনিবার রাত সাড়ে আটটায় রাজশাহী নগরের কুমারপাড়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
পেট্রলপাম্পগুলোয় তেলের জন্য গাড়ির লাইন। ছবিটি শনিবার রাত সাড়ে আটটায় রাজশাহী নগরের কুমারপাড়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির খবর শুনে রাজশাহীতে পেট্রলপাম্পগুলোয় তেল নেওয়ার হিড়িক লেগেছে।

আজ শনিবার রাত আটটার পর থেকে পেট্রলপাম্পগুলোয় তেল নেওয়ার জন্য গাড়ির ভিড় বাড়তে থাকে। শুধু সাধারণ ভোক্তা নয়, পুলিশকেও কাভার্ড ভ্যানে করে ড্রাম নিয়ে এসে তেল ভরতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ১ ডিসেম্বর থেকে খুলনাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত আটটার পর থেকে পেট্রলপাম্পে মোটরসাইকেল, কার, মাইক্রোবাস, ট্রাক ও পুলিশের গাড়ির লাইন পড়ে যায়।

সরেজমিনে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ার একটি পেট্রলপাম্পে দেখা গেছে, পুলিশ তিন থেকে চারটি কাভার্ড ভ্যানে করে তেলের ড্রাম নিয়ে এসে ভরে নিচ্ছে। তাদের একটি ভ্যান চলে যাচ্ছে আরেকটি এসে দাঁড়াচ্ছে। রাত সোয়া নয়টার সময় এ প্রতিবেদন পাঠানোর সময় দেখা গেছে, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ির ভিড় বাড়ছেই।

নগরের বোসপাড়া এলাকার একটি পেট্রলপাম্পে তেল নিতে এসেছিলেন নগরের আলুপট্টি এলাকার মোটরসাইকেল আরোহী মনোজ রায়। এত রাতে কেন তেল নিতে এসেছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকে তিনি খবর পেয়েছেন, কাল থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছে পেট্রলপাম্পগুলো। তাই তিনি আগে থেকেই বেশি করে তেল নিতে এসেছেন।

নগরের মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে এই পাম্পে তেল নিতে এসেছেন আরেক মোটরসাইকেল আরোহী সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, কর্মবিরতির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। পাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির ভিড় দেখে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।

নগরের লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হোসেন তাঁর মোটরসাইকেলের জন্য তেল নিতে গিয়ে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, এত রাতে লাইনে দাঁড়িয়ে তেল নেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে রিকশায় চলাচল করবেন। তবু এভাবে তেল নেবেন না।

আন্দোলনকারীদের প্রচারপত্রের ১৫ দফার মধ্যে প্রথম দফায় দেখা যায়, জ্বালানি তেল বিক্রয়ে প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করতে হবে। শেষ দফায় রয়েছে, বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা নেওয়া বন্ধ করতে হবে।