৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে হয়রানির অভিযোগ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী। আজ শনিবার তিনি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন একটি ঘটনার বর্ণনা দেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে হোমনার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর বাজার থেকে জনৈক সাগর নামের এক যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। তিনি ওই ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের ছোট একটি ঘরে কয়েকজনকে জুয়া খেলতে দেখেছেন বলে জানান। এরপর তিনি জানান, সন্ধ্যায় আবার সেখানে জুয়া খেলা হবে। সংবাদ পেয়ে দিনের বেলায় দায়িত্ব পালনের সময় হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম ফোর্স নিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ তথ্য অনুযায়ী সংবাদদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি। এতে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরের দিন সকাল সাতটায় জুয়া খেলায় বসার মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবার পুলিশকে হয়রানি করা হয়। তখন পুলিশ তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে। তখন তথ্যদাতা বলেন, তাঁর নাম সাগর নয়। তিনি নিজেকে মুরাদনগর উপজেলার নাগেরকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. সুমন বলে পরিচয় দেন। পরে ৯৯৯-এর অপব্যবহার করার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে আটক করে হোমনা থানায় নিয়ে আসে। এরপর সুমন নামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। সুমনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁকে তাঁর বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।


মো. সুমন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আর এমন করব না। অন্যের প্ররোচনায় আরেকজনকে শায়েস্তা করতে এমনটি করেছি।’

হোমনা থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী প্রথম আলোকে বলেন, একজনের সঙ্গে সুমনের বিরোধ ছিল। ওই ব্যক্তিকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে ফুপাতো ভাইয়ের পরামর্শে ৯৯৯-এ কল করেছিলেন তিনি। সুমন পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে আর কখনো মিথ্যা তথ্য দেবেন না বলে ক্ষমা চেয়ে অঙ্গীকার ও মুচলেকা দেওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।