এনআইডি জালিয়াতির মামলা: দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন সত্যসুন্দর দে ও সাগর চৌধুরী।

আজ রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ওসমান গণির আদালতে এই দুজন আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। কারাগারে যাওয়া দুজনই এনআইডি তৈরির প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন।

গত সেপ্টেম্বরে ইসির কর্মচারী জয়নাল আবেদীন গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সত্য সুন্দর ও সাগর এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত। তাদের মাধ্যমে জয়নাল রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরি করে দিতেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দুই আসামি সত্যসুন্দর ও সাগর হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের আইনজীবী জড়িত নয় দাবি করে জামিন মঞ্জুরের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

গত আগস্ট মাসে লাকী আক্তার নামের এক রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া এনআইডি ইসির সার্ভারে ধরা পড়ে। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আরও ৫৪টি ভুয়া এনআইডি ধরা পড়ে। এনআইডি জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন নামে একজনকে তাঁর দুই সহযোগীসহ আটক ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। মামলার এজাহারে সত্যসুন্দর ও সাগরের নাম আছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া আজ প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে যাওয়া দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে কয়েক দিনের মধ্যে। জিজ্ঞাসাবাদের তাদের কাছ থেকে জালিয়াতির তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

আজ দুজন কারাগারে যাওয়াসহ এই মামলায় মোট ১৩ আসামি গ্রেপ্তার হলো।