নিরাপনের তদারকি কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

উত্তর আমেরিকাভিত্তিক তৈরি পোশাক কারাখানা পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান নিরাপনের কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শন কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিরাপনের করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে নিরাপনের কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শন কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্সের সদস্য প্রায় ৬০০ তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ তদারক করতে গত এপ্রিলে নিরাপন নামের ওই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। এটি মূলত বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের একটি উদ্যোগ।

অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম নিয়ে ২০১৭ সালে রিট করে ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড। এর ধারাবাহিকতায় নিরাপনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্পূরক আবেদন করে ড্রাগন। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দিয়ে নিরাপনের কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শন কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে নিরাপন আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে আজ নিরাপনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম। অন্যদিকে, ড্রাগনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

পরে আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টে রুল শুনানি চলমান থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ নিরাপনের আবেদন খারিজ করেছেন। এখন হাইকোর্টে বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।

রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ বছরের জন্য অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। ক্রেতাদের এই জোটের অধীনে বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত ত্রুটি পরিদর্শনের পর সংস্কারকাজ করে ৬৫২ পোশাক কারখানা। কারখানাগুলোর সংস্কারকাজ শেষ হয় ৯৪ শতাংশ।

গত ডিসেম্বরে অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গোটায়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল নিরাপনের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন এক অনুষ্ঠানে নিরাপনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারখানার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করবে নিরাপন। নিরাপন মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কারখানা পরিদর্শনে প্রাপ্ত ফলাফলও পর্যালোচনা করবে। ৬০ দিন অন্তর অন্তর কারখানার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।