রাজন শেখ হত্যার বিচার চেয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

পানের দোকানি রাজন শেখ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। রাজশাহী, ২ ডিসেম্বর। ছবি: সংগৃহীত
পানের দোকানি রাজন শেখ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। রাজশাহী, ২ ডিসেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

পানের দোকানি রাজন শেখ (৩০) হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে রাজশাহী নগরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ সোমবার সকালে নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী মিছিল নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার হুমায়ুন কবিরের অস্থায়ী কার্যালয় এখন নগরের শাহ মখদুম থানা ভবনে। সকালে মিছিলটি তাঁর কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে প্রধান ফটকে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে তারা সেখান থেকে ফিরে যায়।

গত ৩০ নভেম্বর নগরের আসাম কলোনি ঈদগাহ মাঠ এলাকায় বন্ধুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন পান-সিগারেটের দোকানি রাজন শেখ। এ ঘটনায় রাজনের বন্ধু সোহেল শেখসহ দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়। ঘটনার দিনই পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

বিক্ষোভকারীরা আসামি সোহেল শেখের বাবা আরমান শেখ এবং মা শাহানা বেগমেরও বিচার চান। বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানারে এ হত্যাকাণ্ডের আদেশদাতা হিসেবে তাঁদের নাম লেখা হয়। রাজনের মাসহ স্বজনদের অভিযোগ, সম্প্রতি সোহেলের মা শাহানা বেগম মাদকসহ ধরা পড়ে তিন মাস জেল খাটেন। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, রাজনই পুলিশে খবর দিয়ে তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে দেখে নেওয়া হবে। এর কয়েক দিন পরই পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন রাজন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি দুজন। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁরা কার্যালয়ের সামনে মিনিট দশেক স্লোগান দিয়ে চলে গেছেন। পুলিশের তদন্ত যেন ভালোভাবে হয়, কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে পালাতে না পারে, সে জন্য এই বিক্ষোভ করা হয়েছিল। মামলাটি গুরুত্বসহকারেই তদন্ত করা হচ্ছে।

নগরের বোয়ালিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ বর্মণ বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত পরবর্তী ধার্য তারিখে এ আবেদনের ওপর শুনানি নেবেন।