ক্রয়-সংক্রান্ত তদন্তে সতর্ক থাকার নির্দেশ দুদক চেয়ারম্যানের

‘ট্রেনিং অন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস ফর এসিসি অফিশিয়াল’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ঢাকা, ২ ডিসেম্বর। ছবি: দুদকের সৌজন্যে
‘ট্রেনিং অন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস ফর এসিসি অফিশিয়াল’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ঢাকা, ২ ডিসেম্বর। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

ক্রয়-সংক্রান্ত দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তে সংস্থার কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, কেনাকাটার দুর্নীতি বর্তমানে দেশে সবচেয়ে আলোচিত।

ক্রয়-সংক্রান্ত তদন্তে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রায়ই পত্র-পত্রিকায় এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, কেনাকাটায় দুর্নীতির যেসব খবর পাওয়া যায় সেগুলো দেশের মানুষের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে। তাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান অবশ্যই কেনাকাটায় দুর্নীতির অনুসন্ধান বা তদন্তে প্রয়োগ করতে হবে। এটার প্রয়োগ করতে না পারলে জনগণের অর্থে পরিচালিত এসব প্রশিক্ষণ ভিত্তিহীন হয়ে যায়। কেনাকাটা সংক্রান্ত অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো বিষয় না বোঝার কারণে একজন মানুষও যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

‘ট্রেনিং অন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস ফর এসিসি অফিশিয়াল’ শীর্ষক এই কর্মশালা হয়।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেনাকাটার সময় সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে কেবল সরকারি অর্থ আত্মসাতের জন্য অনেক ক্রয় প্রস্তাবে উচ্চ দর প্রাক্কলন করার কথা শোনা যায়। এগুলো বন্ধ করতেই হবে। জনগণের অর্থ কোনো ব্যক্তির নয়। কঠোর নজরদারি, নিখুঁত তদন্ত সর্বোপরি প্রসিকিউশনের মাধ্যমে এসব দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মো. আলী নূর, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা, মো. মঞ্জুর মোরশেদ প্রমুখ।