আমাদের ছবি না টাঙিয়ে সেই টাকা অসহায় কর্মীদের দিন: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ছবি রাস্তায় না টাঙিয়ে সেই টাকা দলের অসহায় নেতা–কর্মীদের জন্য ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চ চত্বরে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বসন্তের কোকিলদের আওয়ামী লীগে স্থান নেই। শেখ হাসিনার অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন। দলের ত্যাগী মানুষদেরই নেতৃত্বে রাখতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার নামে দুর্নীতির মামলা আওয়ামী লীগ করেনি। মামলা করেছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন করার দরকার নেই ।

সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পরে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের জন্য ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি।

পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদলোভী নেতারা একমত হতে পারেনি। তাই নেত্রীর পরামর্শে দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করতে হচ্ছে।’
এ কথা বলে ওবায়দুল কাদের নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবারও সুবাস বোস এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নিজাম উদ্দীন খানের নাম ঘোষণা করেন।


এ ছাড়া দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নড়াইল পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, ১ নম্বর সদস্য মো. ছিদ্দিক আহম্মেদ এবং দলের জাতীয় পরিষদ সদস্য মো. ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ তন্ময়, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নড়াইল-১ আসনের সাংসদ কবিরুল হক, নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা, কেন্দ্রীয় নেত্রী পারভিন জামান প্রমুখ। সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন খান।

সম্মেলনের জন্য শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৫৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়। সম্মেলনস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয় । সুলতান মঞ্চকে পালতোলা নৌকার আদলে তৈরি করা হয়।