সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, সা. সম্পাদক সাময়িক বহিষ্কার

গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার দায়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রলীগের পেইজে শেয়ার করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাঁকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় জেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটি গঠন করার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে হবে ঢাকায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তর সেলে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গত রোববার বলেন, ৩১ অক্টোবর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পাওয়াখালীতে ফাঁকা গুলি করে ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের কামালনগর চৌরাস্তা মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দ্বীপ ও সাইফুল নামের দুজন নিহত হয়। তাদের একজন ছিলেন সাদিকুর রহমানের সহযোগী।

পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার মূল হোতা সাদিকুর রহমান উল্লেখ করে বলেন, ছিনতাই করা ২২ লাখ টাকা ও অস্ত্রসহ তিনি পালিয়েছেন। এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া সামী হাসান ও আজিজুর ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাদিকুর রহমানের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় অস্ত্র আইনে সাদিকুর রহমানের নামে মামলা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক একজন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত দ্বীপ ও সাইফুলকে জেলা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে প্রায় দেখা যেত। তাঁরা মূলত সাদিকুরের লোক হিসেবে পরিচিত।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর সাদিকুর রহমান বলেন, নিহত দুজন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত না। তবে তাঁরা তাঁর ছোটবেলার খেলার সঙ্গী ছিলেন। তবে এখন তিনি আত্মগোপন করায় বহিষ্কারাদেশ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।