এক নারীর পর পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্ত্রীও

লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে আরজু বেগম নামের একজন সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল স্বামী আল-আমিনের (৩০) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগে তিনি মামলাটি করেন।

এর আগে আল-আমিনের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী লালমনিরহাট সদর থানায় গত ৩০ অক্টোবর মামলা করেন। ৩১ অক্টোবর লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ আল-আমিনকে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠান। গত ২১ নভেম্বর জামিনে বাড়িতে এসে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে সই নেন বলে স্ত্রীর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আল-আমিনের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন তিন লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা দেনমোহরে আরজু বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে আছে। লালমনিরহাটের এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। ওই নারী আল-আমিনকে বিয়ে করার জন্য স্বামীকে তালাক দেন। কিন্তু আল-আমিন তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এলাকাবাসী ৩০ অক্টোবর তাঁকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই দিনই এই নারী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরের দিন ওই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।

এই মামলায় গত ২১ নভেম্বর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান আল-আমিন। ঘটনার পর রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়া স্ত্রীর সঙ্গে আপসের কথা বলে ডেকে নেন। তখন আল-আমিন তিনটি ১০০ টাকা মূল্যমানের নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে আরজু বেগমকে সই করতে বাধ্য করেন। সই করতে না চাওয়ায় তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা আরজুকে মারধর করে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়রা আরজু বেগমকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় আরজু বেগম বাদী হয়ে আল-আমিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ২৮ নভেম্বর আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগটিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড করে।

আদিতমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান বলেন, জোর করে সাদা কাগজে সই নেওয়ার অভিযোগে কনস্টেবল আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।