বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করলে হরতাল দেবে গণসংহতি

বক্তব্য দিচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বুধবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে। ছবি: সংগৃহীত
বক্তব্য দিচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বুধবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। দাম বৃদ্ধি করলে হরতালসহ নানা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ বুধবার বিকেলে পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সংগঠনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদ্যুতের বিষয়ে বর্তমান সরকার প্রথম থেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। গত ১১ বছরে তারা ভাড়াভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে কুইক রেন্টালের নামে লুণ্ঠন। তিনি বলেন, সরকার বলেছিল, কুইক রেন্টাল স্বল্পমেয়াদে কার্যকর থাকবে। পাশাপাশি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ হবে। তাতে সস্তায় বিদ্যুৎ মিলবে। শুরুতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কুইক রেন্টাল চলার কথা বলা হয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত এটি চলবে।

সমাবেশ শেষে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
সমাবেশ শেষে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদ্যুতের মতো একটা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে পরিবহনের খরচ, খাদ্যপণ্যের দাম ও জীবনযাত্রায় ব্যয় বাড়ে। বিদ্যুতের বাড়তি দামের কারণে একদিকে গরিব মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে কলকারখানার উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে বাংলাদেশি পণ্যসামগ্রী প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) দায়িত্ব জ্বালানির দাম বিষয়ে সব পক্ষের মতামত শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু সরকারের হুকুম তামিল করা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বিইআরসি। কমিশনের শুনানিতে বিশেষজ্ঞরা দেখিয়ে দিয়েছেন, চুরি বন্ধ করা গেলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। এমনকি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র আধুনিকায়ন করেও সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

সমাবেশে শেষে একটি মিছিল পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বর, বায়তুল মোকাররম ঘুরে আবারও প্রেসক্লাবে আসে। এরপর কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জুলহাসনাইন বাবু।