মিরপুরে জোড়া খুনের মামলা ডিবিতে

রাজধানীর মিরপুরে জোড়া খুনের মামলার তদন্তভার আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার মিরপুর থানা থেকে এই জোড়া খুনের মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির পল্লবী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুই নারী হত্যায় জড়িত অভিযোগে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে রমজান আলী (২০) ও ইউসুফ আলীকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা দুই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের একটি ফ্ল্যাট থেকে রহিমা বেগম (৬০) ও সুমি (২০) নামের দুই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ এ ঘটনায় রহিমার মেয়ে খাদিজা বেগম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

আজ দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে দুই নারীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক কে এম মাইনুদ্দীন বলেন, দুজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। দুজনেরই গলায় জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুমিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা নির্ণয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের ডিএনএ নমুনা ও রক্ত পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রমজান ও ইউসুফ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মগবাজারে এক বাসায় লুকিয়ে ছিলেন। আজ বুধবার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে তাঁরা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। রমজানের বাড়ি ভোলা জেলায়। আর ইউসুফের বাড়ি পটুয়াখালীতে। দুজনে ঢাকায় দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
শাহাদত হোসেন প্রথম আলোকে আরও বলেন, ওই খুনের ঘটনায় তদন্ত করতে নেমে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই আসামি ওই দুই নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই বাসায় প্রতিদিন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলত। গতকাল তাঁরা সেখানে যান। টাকা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই দুই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আটক নিহত রহিমা বেগমের পালক ছেলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।