'আ.লীগে বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিকি নেতা, আরও কত নেতা!'

সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আজ বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছবি: আনিস মাহমুদ
সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আজ বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছবি: আনিস মাহমুদ

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে এখন নেতার অভাব নেই। এখন কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিকি নেতা, আরও কত নেতা!

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কাউকে বাদ দেওয়া হয় না। আওয়ামী লীগে দায়িত্বের পরিবর্তন হয়। দায়িত্বের পরিবর্তন মানে বাদ দেওয়া নয়। নবীনের সঙ্গে প্রবীণের মিলন। প্রবীণের সঙ্গে নবীনের মিলন। শক্তির সঙ্গে অভিজ্ঞতার মিলন। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। আওয়ামী লীগকে সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ঢেলে সাজাতে হবে।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি করতে গিয়ে দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নেতার অভাব নেই। এখন কর্মীদের চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিকি নেতা, আরও কত নেতা! নেতার শেষ নেই। নেতা আছে, কর্মী পাওয়া যায় না। নেতাদের পোস্টার লাগানোর মানুষ থাকে না। ভাড়া করে পোস্টার লাগাতে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি বিশ্বের তিনজন সৎ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজন। বিশ্বের পরিশ্রমী চারজন রাষ্ট্রনায়কের একজন, বিশ্বের প্রভাবশালী ১০ নেতার একজন। গত ৪৪ বছরে দেশের সবচেয়ে সৎ রাজনীতিবিদের নাম শেখ হাসিনা। বিশ্বের দক্ষ এক প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল হতে হবে। নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। এখন টাকার বিনিময়ে নেতা হওয়ার সুযোগ শেষ। মনোনয়ন বাণিজ্যের দিন শেষ। সুসময়ের সুবিধাবাদীদের দিন শেষ। এসব চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। নেত্রী টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান।’

সম্মেলনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, ত্রাণ ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন প্রমুখ।