জঙ্গিদের পরা আইএসের সেই টুপিই খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

হোলি আর্টিজান মামলার রায় ঘোষণার পর দুই জঙ্গির মাথায় আইএসের মনোগ্রাম সম্বলিত টুপি দেখা যায়। এখন সেই টুপিই খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। ফাইল ছবি
হোলি আর্টিজান মামলার রায় ঘোষণার পর দুই জঙ্গির মাথায় আইএসের মনোগ্রাম সম্বলিত টুপি দেখা যায়। এখন সেই টুপিই খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। ফাইল ছবি

হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথার টুপিটি লাপাত্তা হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মনোগ্রামসংবলিত টুপিটির হদিস মেলেনি আট দিনেও। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এর আগে পুলিশ দাবি করেছিল, রাকিবুল টুপিটি কারাগার থেকে পেয়েছেন। অন্যদিকে, কারাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যবস্থাপনায় তাদের কোনো ঘাটতি ছিল না। টুপি কারাগার থেকে যায়নি। চলমান এই বিতর্কের মধ্যেই আজ ঢাকা মহানগর পুলিশ গঠিত তদন্ত কমিটির টুপি নিয়ে প্রতিবেদন ডিএমপি কমিশনারের কাছে জমা দেওয়ার কথা। তদন্ত কমিটির প্রধান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, তাঁদের তদন্ত শেষ।

গত ২৭ নভেম্বর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। ওই দিন প্রিজন ভ্যান থেকে রাকিবুল টুপিছাড়া নামেন। কারাগারের হাজতখানা থেকে তিনি একটি কালো টুপি মাথায় দিয়ে এজলাসে গিয়ে বসেন। এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর মাথায় আইএসের মনোগ্রামসহ টুপি দেখা যায়।

আজ সকালে ডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কারাগার থেকে পাওয়া ফুটেজে তিনজনকে টুপি নিয়ে বেরোতে দেখা গেছে। টুপিগুলোর দুটি ছিল সাদা, একটি কালো। কালো টুপিটি মাথায় না পরে একজন কয়েদিকে পকেটে রাখতে দেখা গেছে। তবে ওই কালো টুপির ওপর আইএসের মনোগ্রাম ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হতে পারেনি। তদন্তের সময় তাঁরা মনোগ্রামছাড়া একটি কালো টুপি পেয়েছেন। এ কারণে আইএসের মনোগ্রামসংবলিত টুপিটির রহস্য উন্মোচন করা যায়নি।

এদিকে রাকিবুল হাসান রিগ্যান মঙ্গলবার আদালতকে জানান, ওই দিন আদালতে কেউ একজন তাঁকে টুপিটি দেন। নতুন করে যে প্রশ্নটি উঠেছে, তা হলো হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার রায় ঘোষণার দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে রাকিবুলকে টুপিটি কে দিয়েছিলেন।

পুলিশ বলছে, রাকিবুল একেকজনকে একেক রকম তথ্য দিয়েছেন। তারা নিরাপত্তার ঘাটতির অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছে, ওই দিন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সচেতনতার অভাব ছিল। টুপিটির তাৎপর্য তারা বুঝতে পারেনি। আদালত চত্বরে রাকিবুলকে টুপি দেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না বলেও দাবি তাদের।