২০২৫ সালের মধ্যে নির্মিত হবে ভোলা-বরিশাল সেতু

ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ নিয়ে কথা বলেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বেলায়েত হোসেন (বাঁয়ে)। সভায় ভোলা-১ আসনের সাংসদ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি ছিলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ, ভোলা, ৫ ডিসেম্বর। ছবি: নেয়ামতউল্যাহ
ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ নিয়ে কথা বলেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বেলায়েত হোসেন (বাঁয়ে)। সভায় ভোলা-১ আসনের সাংসদ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি ছিলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ, ভোলা, ৫ ডিসেম্বর। ছবি: নেয়ামতউল্যাহ

২০২৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বেলায়েত হোসেন এসব তথ্য জানান।

সচিব মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতুর ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) সম্পন্ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা ভোলায় এসেছেন। আগামী সপ্তাহে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা পড়বে। তারপর মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবে।

বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে জার্মানি, জাপান, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি কোম্পানির আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সাড়ে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। সেতুটি আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর, তেঁতুলিয়া ও ইলিশা নদীর ওপর দিয়ে ভোলার সঙ্গে মিশবে।

সভায় বেলায়েত হোসেন এই সেতু নির্মাণে যান্ত্রিক খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের যে রূপকল্প আছে তাতে ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুর কথা উল্লেখ আছে।

সভায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-৩ (লালামোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী, খাদ্যসচিব মো. সাহাবুদ্দিন, ভূমিসচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে শিগগিরই ভোলাবাসী ভোলা-বরিশাল সেতুর সুফল ভোগ করবে। ভোলা আর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থাকবে না। আর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতু নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম থেকে পায়রা ও মোংলা বন্দর সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ হলে ভোলা শিল্পায়নের উপযুক্ত হবে। কারণ এখানে পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। একদিন ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রিজও নির্মাণ করা হবে।’