সাবেক সচিব প্রশান্ত রায়ের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব প্রশান্ত কুমার রায়ের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠি প্রশান্ত কুমার রায়ের মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাবেক এই সচিবকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

নোটিশের সঙ্গে সম্পদ বিবরণী দাখিলের ফরম যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে বা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এর আগে গত ২৯ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

দুদক সূত্র জানায়, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যবসা পরিচালনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে সাবেক এই আমলার বিরুদ্ধে।

দুদক জানিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডেনিম পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ডেনিম এক্সপোর্ট প্রসেসিং লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয়ে জনৈক এনামুল হকের সঙ্গে অংশীদারত্ব হস্তান্তর বা শেয়ার বিক্রির চুক্তি করেছেন বলে একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। প্রথম আলোয় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর দুদক অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।