বিমানের সাবেক দুই কর্মকর্তা কারাগারে, জামিন আবেদন নাকচ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাবেক পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেল) মোহাম্মদ আলী আহসান ও সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ইফতেখার হোসেন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, বিমানের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আলী আহসান ও ডিজিএম ইফতেখারকে গত মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেদিন আসামিপক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য দেওয়া হয়।

কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবারও বিমানের এই দুই কর্মকর্তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। আদালত কোনো আদেশ দেননি। আগামী সোমবার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বিমানের এই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিমানের কার্গো হ্যান্ডেলিং চার্জ বাবদ ১১৮ কোটি টাকা আদায় না করে সরকারের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত কার্যালয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) মো. আরিফ উল্লাহ, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও বর্তমানে সৌদি আরবে কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও বর্তমানে সৌদি আরবের শহর রিয়াদের রিজওনাল ম্যানেজার আমিনুল হক ভূঁইয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব হাসান, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দীন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক অনুপ কুমার বড়ুয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক কে এন আলম, কার্গো আমদানি শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ মজুমদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এ কে এম মনজুরুল হক এবং সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান।