তিন জঙ্গির স্বীকারোক্তি, হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

সিএমএম আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি
সিএমএম আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিন জঙ্গি হলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পাইকপাড়া গ্রামের মামুন হোসেন (২৩), ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার চর হাজিগঞ্জের খালপাড় ডাঙ্গির সরোয়ার হোসেন (২৭) ও মাগুরার শ্রীপুর থানার খামারপাড়ার টুপিপাড়া গ্রামের রাইসুল ইসলাম (২৪)।

গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকার ইসকন মন্দির এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় তিনটি মোবাইল। এ ঘটনায় কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শোভন কুমার কুন্ডু বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ নভেম্বর জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা স্বামীবাগ এলাকায় একত্রিত হবে— এমন খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরের সামনে থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানায়, তাঁরা আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামুন জানায়, আনসার আল ইসলামের নেতা আবে কায়সার রনির নেতৃত্বে ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আসামি মামুন তাঁর দুই সহযোগী সরোয়ার ও রাইসুলকে নিয়ে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা করে।

এজাহারে আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামুন জানায়, জঙ্গি নেতা আবে কায়সার সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টেলিগ্রাম আইডি ব্যবহার করতেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল হক আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, জঙ্গি নেতা আবে কায়সার রনি অনলাইনে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছিল। মামুন জানিয়েছে, আবে কায়সার রনির নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।