মতলবে কলেজছাত্রী ধর্ষণের মামলায় চারজন কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এক কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাতে নারায়ণপুর গরুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার থানায় মামলা হলে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ, ছাত্রীটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ আধারা গ্রামের রাজিব মিয়ার (১৮) সঙ্গে চাঁদপুর জেলা শহরে বেড়াতে যায় মেয়েটি (১৭)। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় সে। রাত আটটায় উপজেলার নারায়ণপুর বাজার এলাকায় অটোরিকশা থামিয়ে চালক মো. সবুজসহ বন্ধু রাজিবকে নিয়ে সেখানকার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যায় ছাত্রীটি। খাওয়া শেষে অটোরিকশায় করে আবার নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় সে। রাত সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণপুর গরুর বাজার এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সোহরাব হোসেন (২৪), সোহেল গাজী (২২), মানিক সরকার (২২) ও নীরব পাঠান (২৪) নামের চার তরুণ তাদের গতিরোধ করেন এবং রাজিবকে মারধর করে গাড়ি থেকে ছাত্রীটিকে তুলে নেন। তাঁরা মেয়েটিকে বাজারের একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তাঁদের এ কাজে সহায়তা করেন অটোরিকশাচালক সবুজ।

সূত্রগুলো জানায়, এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অপরাধীরা পালিয়ে যান। এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাতেই মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মেয়েটির নানি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনার পর তাঁর নাতনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তার লেখাপড়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটি বাদী হয়ে উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের সোহরাব হোসেন, সোহেল গাজী, নীরব পাঠান ও কামরুল মিয়া, নারায়ণপুর গ্রামের মানিক সরকার এবং অটোরিকশাটির চালক সবুজকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। অভিযান চালিয়ে রাতেই সোহরাব, সোহেল, সবুজ ও কামরুলকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার পলাতক আসামি মানিক সরকার ও নীরব পাঠানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।