কলের লাঙল থেকে ছিটকে পড়ে ছিন্নভিন্ন শিশুর শরীর

শখের বশে কলের লাঙল (পাওয়ার টিলার) চালাতে গিয়েছিলেন লিটন মিয়া (২০)। গ্রামের একদল শিশু তাঁর পিছু নেয়। এ সময় তিনি শিশু লিটন হোসেনকে (১০) চালকের আসনের পাশে তুলে নেন। একপর্যায়ে মাঠে হঠাৎ ব্রেক কষলে শিশু লিটন পাওয়ার টিলার থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। এতে তার শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামে আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পাওয়ার টিলারচালক লিটন মিয়া দোহাজারী গ্রামে বাসিন্দা। তিনি পুলিশের কনস্টেবল। তবে তিনি কোন থানায় আছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিটন গতকাল শুক্রবার কর্মস্থল ঢাকা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। আজ সকাল নয়টায় শখের বশে বাবা আজিজার রহমানের পাওয়ার টিলার নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে জমি চাষ করতে যান। জমি চাষ করার সময় তাঁর পিছু নেয় একদল শিশু। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি শিশু লিটনকে চালকের আসনের পাশে তুলে নেন। কলের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করার একপর্যায়ে ব্রেক কষলে শিশু লিটন ছিটকে লাঙলের নিচে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

শিশু লিটনের বাড়িও দোহাজারী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম এছার উদ্দিন। লিটনের ভাই আবদুল মজিদ অভিযোগ করেন, ‘আমার চোখের সামনে ভাই মারা গেছে। ঘটনাস্থলের ১০০ গজের মধ্যে আমি জমিতে তামাক লাগাচ্ছিলাম। আমার ভাই ওই গাড়ি থেকে নামার জন্য চিৎকার করেছে। কিন্তু তাকে নামিয়ে না দিয়ে পুলিশ সদস্য লিটন জমি চাষ করতেই থাকেন। আমার ভাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলে ওই ঘটনা ঘটতো না।’

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই পুলিশ সদস্যের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তিনি এলাকা থেকে চলে গেছেন। তবে তাঁর বাবা আজিজার রহমান বলেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিন্নাত আলী বলেন, খবর পাওয়ার পরেই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। নিহত শিশুর মা–বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা কোনো অভিযোগ দিতে রাজি হয়নি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর লিটন মিয়া কোন থানায় কর্মরত, তা জানা যায়নি।