চার কোটি টাকার সোনা আনা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ

সোনা। ফাইল ছবি
সোনা। ফাইল ছবি

চার কোটি টাকার সোনাসহ গ্রেপ্তার আসামি হিমেল খানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। কাল রোববার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) পাঠানো হবে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিকুর রহমান দেওয়ান।

প্রথম আলোকে আশিকুর রহমান বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে সোনা চোরাচালান মামলায় গ্রেপ্তার আসামি হিমেল খানকে রিমান্ডে নিয়ে তিন দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আগামীকাল তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

২ ডিসেম্বর সকাল নয়টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কেজি সোনাসহ গ্রেপ্তার হন হিমেল খান। এ ঘটনায় কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নিয়ামুল নাসির বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে হিমেল খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ৪ ডিসেম্বর হিমেল খানকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে হিমেল খানকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই আশিকুর রহমান দেওয়ান আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, হিমেল খান দুবাই থেকে উড়োজাহাজযোগে ২ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। কোনো ধরনের ঘোষণা না দিয়ে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তাঁর কাছে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। আসামি হিমেলের কাছে থাকা ব্যাগ স্ক্যানিং করলে ধাতব পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে বিমানবন্দরে কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে তাঁকে নিয়ে আসার পর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। হিমেলে খানের ব্যাগে হলুদ রঙের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৭২টি সোনার বার পাওয়া যায়। ওজন ৮ কেজি ৪৫০ গ্রাম। হিমেল খান আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করলে হিমেল খান এলোমেলো তথ্য দেন।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে এক লিখিত বিবৃতিতে হিমেল খান বলেন, যে সোনার বার তিনি নিয়ে এসেছেন, তাঁর সপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।