'বোমাসদৃশ বস্তু' নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি

টানা দুদিন ঘিরে রাখার পর মেহেরপুরে ‘বোমাসদৃশ বস্তুর’ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মেহেরপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের সামনে বস্তুটির বিস্ফোরণ ঘটায় ঢাকা থেকে আসা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) একটি দল।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় মেহেরপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের সামনের দেয়ালের পাশে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মতো একটি বস্তু পড়ে ছিল। আশপাশের লোকজন ওই দিন বেলা ১১টার দিকে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে দুদিন বস্তুটি ঘিরে রাখেন। আজ শনিবার সকাল ১০টা ২১ মিনিটে সিটিটিসির ইন্সপেক্টর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বোমা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা বস্তুটির বিস্ফোরণ ঘটান।

পুলিশের ধারণা, আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই বোমাসদৃশ বস্তুটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছিল। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বোমাসদৃশ বস্তুটিতে শুধু বিস্ফোরক ছিল। যেখানে স্প্লিন্টার থাকার কথা, সেখানে বালু ছিল। এটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য ঢাকা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়। এ কারণে দুদিন বস্তুটি ঘিরে রাখা হয়।

আজ শনিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে রাখা বস্তুটি (ডিভাইস) বোমা নয়, এটি বোমাসদৃশ বস্তু। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই একটি মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বস্তুটির সঙ্গে যে চিরকুটে আল–কায়দার নাম লেখা রয়েছে, মেহেরপুরে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পুলিশও আলামত সংগ্রহ করেছে।