আ.লীগকে ৩০ নভেম্বর স্মরণ করতে বললেন ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার ‘জঘন্য নাটক’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বিএনপিদলীয় আইনজীবীদের বিক্ষোভ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগকে ২০০৬ সালে ৩০ নভেম্বরের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেন। তিন বলেন, দখলদার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যেন, সেদিন শুনানির মধ্যে যাঁরা দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা মহা অপরাধ করে ফেলেছেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনের কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে দলের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা এসব কথা বলার আগে নিজেদের পেছনটা কি একবার দেখার চেষ্টা করেছেন? তাঁরা কি একবারও মনে করেছেনম তাঁরা কী করেছিলেন? আমাদের আইনজীবীরা তো একটাও খারাপ কাজ করেননি। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা নিজের জায়গায় বসে থেকে তাঁদের দাবির কথা উচ্চারণ করেছেন যে আমরা ন্যায়বিচার চাই, সুষ্ঠু বিচার চাই।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর তাঁরা (আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা) আদালতে লাঠিমিছিল করেছেন, ওই দিন আওয়ামী আইনজীবীদের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছিল প্রধান বিচারপতির এজলাস, তিন দিন বিচারপতিরা কোর্টে আসেননি। আপনারা নিশ্চয়ই এসব ছবি গুগলে গেলেই পাবেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কী দুর্ভাগ্য, আজকে আমাদের মিডিয়া এ কথা বলতে পারে না, লিখতে পারে না। কারণ, তাদের সেই স্বাধীনতা নেই। আমি কয়েক দিন আগে বলেছিলাম, মিডিয়ার অবস্থাটা এমন হয়েছে, সরকারকে বলতেও হয় না। সেলফ সেন্সরশিপ করে। কারণ, তাদের টিকে থাকতে হয়, বেঁচে থাকতে হয় এবং সত্য কথাটা তারা বলতে পারে না, লিখতে পারে না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘চিন্তা করে দেখেন, ভারত বর্ষে যে এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি হচ্ছে, এটা সম্পর্কে নাকি কথাই বলা যাবে না। গতকালও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোনো চিন্তার কারণ নেই, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তারা আমাদের এত ভালো বন্ধু যে আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু ইতিমধ্যে যেটা হয়ে গেছে, সেটার কী হবে? এটা আমার কথা নয়, মিডিয়ার কথা, বিজিবির কথা—কিছু লোককে ঢুকিয়ে দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পেঁয়াজের দাম তো কমেনি, আরও বাড়তে শুরু করেছে, চালের দাম বাড়ছে, ...। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি সোজাসুজি কথা বলি, প্রতিটি সূচক নিচের দিকে নামছে। কোনো সূচক ওপরের দিকে নেই। আপনার গার্মেন্টসের সংখ্যা কমে গেছে, রপ্তানি কমে গেছে, রাজস্ব আয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, ভ্যাট যেটা করেছিল সেটা হচ্ছে না। এখন দুর্বৃত্তদের কবলে দেশ পড়েছে।’

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় দলের নেতা রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির, হাবিব উন নবী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।