ড্রিমলাইনার সেজেছে লাল-সবুজ পতাকায়

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’। ছবি: সংগৃহীত

লাল–সবুজের পতাকায় সেজেছে নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে রং করার পর ড্রিমলাইনারটিতে এখন বসানো হয়েছে ‘সোনার তরী’ নামটি। সম্প্রতি ফ্যাক্টরিতে তোলা ড্রিমলাইনারটির একটি ছবিতে এই নাম লেখা দেখা গেছে।

সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ চতুর্থ ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ ‘রাজহংস’ উদ্বোধনের পর থেকে আলোচনায় আসে—বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে আরও দুটি বোয়িং যুক্ত হচ্ছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দুটি বোয়িং কেনার আগ্রহ দেখান। পরে জানা যায়, আরও বড় আকৃতির বোয়িংয়ের ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার কিনতে যাচ্ছে বিমান। এরপর মাস খানেক ধরে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে বিমান দর-কষাকষি করে। বিমান-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বর্তমান বাজারমূল্যের অর্ধেক দামে, অর্থাৎ ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কমে কেনা হয়েছে। ডিসেম্বরেই এই দুটি উড়োজাহাজ বিমানবহরে চলে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’। ছবি: সংগৃহীত

দরদাম ঠিক হওয়ার পর উড়োজাহাজ দুটি নামকরণের কার্যক্রম চলে। প্রায় ৪০টি নামের একটি তালিকা করা হয়। বিমান সূত্রে জানা গেছে, দুটি নাম পছন্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটির নাম ‘সোনার তরী’, অন্যটি ‘অচিন পাখি’।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, দুটি ড্রিমলাইনারের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দেবে ১৯ ডিসেম্বর। দ্বিতীয়টি সেখান থেকে উড়বে ২১ ডিসেম্বর।

বিমানবহরে বর্তমানে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৬টি। এগুলোর মধ্যে নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা ১০। বাকি ৬টি লিজে আনা। নিজস্ব ১০টি উড়োজাহাজের সবই বোয়িং কোম্পানি থেকে কেনা। এর মধ্যে ৪টি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮, ৪টি ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ২টি ৭৩৭-৮০০। নতুন দুটি ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ নিয়ে বিমানের উড়োজাহাজ হবে ১৮টি। আগামী বছর কানাডা থেকে কেনা ৩টি ড্যাশ-৮ দেশে আসছে।