গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,স্বামী আটক

ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী
ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চর কাচিকাটা ইউনিয়নের জবরদখল গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম আকলিমা বেগম (২৮)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামী আল আমীন সরদারকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ তাঁর বসতঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে।

ভেদরগঞ্জের সখীপুর থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর উত্তর তীরে কাচিকাটা ইউনিয়ন অবস্থিত। ওই চরের জবরদখল গ্রামের কৃষক শরীফ সরদারের মেয়ে আকলিমার সঙ্গে ১০ বছর আগে একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন সরদারের ছেলে আল আমীনের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তিনজন সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি সংসারে অভাব-অনটন নিয়ে অশান্তি চলছিল। আল আমীন প্রায়ই শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা আনত। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ বাধে। প্রায়ই আল আমীন স্ত্রীকে মারধর করত। আজ সকালে আকলিমার এক সন্তান বসতঘরের আরার সঙ্গে মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে এ দৃশ্য দেখে সখিপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকলিমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

আকলিমার বাবা শরীফ সরদার বলেন, ‘আমার দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায়ই আল আমীন আমার কাছ থেকে টাকা নিত। যখনই টাকা দিতে চাইতাম না, তখনই আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালাত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল (রোববার) রাতে আল আমীন আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেলে ফেলেছে। আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটক আল আমীন বলেন, ‘সংসারের নানা বিষয় নিয়ে আকলিমার সঙ্গে ঝগড়া হতো। সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাকে হত্যা করিনি।’

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, পদ্মা নদীর উত্তর তীরে দুর্গম চরে হওয়ায় লাশ উদ্ধার করতে দেরি হয়েছে। কাল মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে এমন মৌখিক অভিযোগ তার পরিবার করেছে। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পেয়ে ও তদন্ত না করে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।