চট্টগ্রাম নগর ও দক্ষিণের আ. লীগের সম্মেলন কবে?

আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ

চট্টগ্রাম নগর এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১৩ সালে সমঝোতার ভিত্তিতে। তিন বছরের এই কমিটি সাত বছর ধরে চলছে। এর মধ্যে দক্ষিণের বাঁশখালী উপজেলায় ২৪ বছর এবং বোয়ালখালীতে ২২ বছর ধরে সম্মেলন হয়নি। আর নগরের ছয়টি ওয়ার্ড ছাড়া সবগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে কার্যক্রম।

এসব কারণে এই দুই সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন হতে পারছে না বলে দাবি করা হয়েছে। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর কবে নাগাদ এই দুই জেলার সম্মেলন হবে, তা নিয়ে নেতা–কর্মীদের কৌতূহল রয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে উপনির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে এই দুটি সম্মেলন হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোয়ালখালীর উপনির্বাচন এবং দুটি উপজেলার সম্মেলনের কারণে দক্ষিণের সম্মেলন করা যায়নি। তবে আগামী জানুয়ারিতে নগর এবং দক্ষিণের সম্মেলন আশা করি হয়ে যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক শামীম বলেন, এক একটি জেলার অধীনে যতগুলো ইউনিয়ন, উপজেলা এবং ওয়ার্ড থাকে তাতে সম্মেলন করে আসতে অনেক সময় লাগে। এ কারণে দেরি হয়ে যায়। তবে শিগগিরই নতুন কমিটি করে ফেলা হবে।

গত শনিবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সম্মেলনে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।

জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তবে অনেক সময় কাউন্সিলররা প্রভাবিত হয়ে পড়েন। সম্মেলন যখন হবে, তখন বলা যাবে কী প্রক্রিয়ায় কমিটি হবে।

মফিজুর রহমান আরও বলেন, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর কমিটি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কেন্দ্র যখন চায় সম্মেলন হবে।

জানা গেছে, বোয়ালখালী ও বাঁশখালীর সম্মেলন নিয়ে দক্ষিণ জেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বাঁশখালীর কমিটি হয় সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে। বোয়ালখালীরটি হয় এর দুই বছর পর। বোয়ালখালীর একটি কমিটি সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গঠন করলেও তাতে স্বাক্ষর করেননি সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নির্বাচনের আগে সম্মেলন হচ্ছে না।

অন্যদিকে, নগরের ছয়টি ওয়ার্ডে নতুন কমিটি রয়েছে। বাকি ৩৫টি ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়নি। প্রত্যেকটির কমিটি ছয় থেকে সাত বছর আগের। গত ২ অক্টোবর থেকে অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে সম্মেলন করার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তা স্থগিত করে দেয় কেন্দ্র। এ ছাড়া ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ছয় মাসের মধ্যে যেকোনো সময় সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিতে কাউন্সিলররাও রয়েছেন। তাঁরাও চান না নির্বাচনের আগে সম্মেলন হোক।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর করপোরেশনের নির্বাচন রয়েছে। তারপরও আমরা প্রস্তুত সম্মেলন করার জন্য। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন যেভাবে বলবে আমরা সম্মেলন করব। ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন করতে বলা হয়েছিল। আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পরে কেন্দ্র থেকে বলা হলো আপাতত স্থগিত রাখতে। আমরা সে নির্দেশনা মেনে কাজ করে যাচ্ছি।’