হাকিমপুরি জর্দা বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ

হাকিমপুরি জর্দায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে। দুই ধাপে পরীক্ষা করে সিসা, ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়াম পেয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সরকারি এ সংস্থা বাজার থেকে এ জর্দা তুলে নিতে বলেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে। এ বিষয়ে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মোট ৩২ ধরনের জর্দা পরীক্ষা করে বেশির ভাগেই ভারী ধাতু পেয়েছি। এগুলো থাকলে এবং কেউ তা খেলে মানুষের মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই পণ্য যাতে দেশের কোথাও বিক্রি হতে না পারে, সে জন্য সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর সহায়তা নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

অন্যদিকে হাকিমপুরি জর্দার ট্রেডমার্ক ও লোগো ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)। বাজারে এই জর্দা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিএসটিআই জানিয়েছে।

হাকিমপুরি জর্দার মালিক হাজি মো. কাউছ মিয়াকে দেশের সেরা করদাতা হিসেবে ১৪ বার পুরস্কৃত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জানায়, ২২টি জর্দার নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করে প্রতি কিলোগ্রামে দশমিক ২ মিলিগ্রাম থেকে ১১ দশমিক ২ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়। হাকিমপুরি জর্দার প্রতি কেজিতে দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম সিসা, দশমিক ৯৫ মিলিগ্রাম ক্যাডমিয়াম এবং ১ দশমিক ৬৫ মিলিগ্রাম ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়। এই জর্দা দীর্ঘদিন খাওয়ার কারণে মানুষ দাঁতের মাড়ি ও লিভারে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।